![](https://banglascot.com/files/uploads/2020/05/Janajzah333-1024x549.jpg)
বাংলা স্কট নিউজ (০৪ মে ২০২০ইং):
স্কটীশ রাজধানীতে চিরনিদ্রায় শায়িত হলেন রাঙ্গামাটির সন্তান মরহুম মোহাম্মদ ইকবাল (হযরত আলী) ওরফে নিক্সন। অদ্য সোমবার ১১ই রমদ্বান ১৪৪১ হিজরী মোতাবেক ৪ মে ২০২০ ইং অপরাহ্ন ২.৩০মিনিটে এডিনবরায় সম্পন্ন হয়েছে তার জানাযা ও দাফন। রৌদ্রজ্জল আবহাওয়ার মধ্যে স্থানীয় ক্রেইগমিলার পার্ক কবরস্থানের খোলা মাঠে অনুষ্টিত হয় নামাজে জানাযা। নামাজে ইমামতি করেন এডিনবরা ইকরা একাডেমীর ইমাম হাফেজ আব্দুল ওয়াহাব। সোশ্যাল ডিস্টেন্স সংক্রান্ত নীতিমালা অনুসরন করে আগতরা পরস্পরের মধ্যে নিরাপদ দুরত্ব বজায় রাখেন।
![](https://banglascot.com/files/uploads/2020/05/IMG_5174-1024x768.jpg)
মরহুম নিক্সনের ঘনিষ্ট বন্ধু-বান্ধব ছাড়াও স্থানীয় মুসলিম কমিউনিটির বিশিষ্ট লোকজন জানাযায় অংশগ্রহন করেন। ফিউন্যারেলের সার্বিক দায়িত্বে ছিল এডিনবরা ভিত্তিক সংস্থা স্কটিশ মুসলিম ফিউন্যারেল সার্ভিস। পুরো দাফনের প্রক্রিয়াটি ফেইসবুকের মাধ্যামে লাইভ সম্প্রচার করা হয়। ( এর ফলে অনলাইনে বাংলাদেশ ও বিশ্বের অন্যান্য স্থানে বসবাসরত পরিবারের সদস্যবৃন্দ দোয়ায় যোগ দিতে পেরেছেন।
![](https://banglascot.com/files/uploads/2020/05/IMG_5177-1024x768.jpg)
ওদিকে মরহুমের দুই ঘনিষ্ঠ বন্ধু বিশিষ্ট ব্যাবসায়ী ও কমিউনিটি ব্যাক্তিত্ব মো: দেলওয়ার ও সেলিম হায়দার স্থানীয় কমিউনিটির জনগনের কাছে মরুহুমের আত্বার শান্তির জন্য দোয়া কামনা করেন। তারা আরও বলেন, মরহুম নিক্সন জীবিতাবস্থায় জ্ঞাতে বা অজ্ঞাতসারে যদি কারো মনে কোন দু:খ/কষ্ট দিয়ে থাকে তাহলে তাকে যেন সবাই আল্লাহর ওয়াস্তে মাফ করে দেন।
![](https://banglascot.com/files/uploads/2020/05/IMG_5178-1024x768.jpg)
উল্লেখ্য, মরহুম ইকবাল দীর্ঘকাল যাবত এডিনবরায় বসবাস করে আসছিলেন। ঘনিষ্ট সুত্র জানায়, শহরের ফাউন্টেনব্রীজ এলাকায় তিনি একটি ফ্লাটে একাকী বসবাস করতেন । কয়েক দিন যাবত তার সাথে মোবাইলে কোন যোগাযোগ করতে পারছিলেন না কেউ। তার খোঁজ নিতে সোমবার ২৭ এপ্রিল ২০২০ তারিখ বিকেলে তার বাসায় যান তার ঘনিষ্ট বন্ধু মো: দেলওয়ার, তখন ভিতর থেকে কোন সাড়া শব্দ না পেয়ে তারা ঘরের ভেতরে ঢুকেন। এ সময় ইকবালের মৃতদেহ ঘরের মেঝেতে পড়ে থাকতে দেখা যায়।
![](https://banglascot.com/files/uploads/2020/05/IMG_5181-1024x768.jpg)
মরহুম ইকবালের দেশের বাড়ী চট্টগ্রামের পার্বত্য জেলা রাঙ্গামাটি সদরের রিজার্ভ বাজার এলাকায়। রাঙ্গামাটিতে থাকাকালীন তিনি স্থানীয়ভাবে রাজনৈতিক, সাহিত্য, ক্রীড়া ও সাস্কৃতিক কার্যক্রমের সাথে যুক্ত ছিলেন।
মৃত্যুকালে পিতা, ৩ মেয়ে, স্ত্রী, আত্বীয় স্বজন এবং অসংখ্য গুনগ্রাহী রেখে গেছেন। পরিবারের সকল সদস্যরা বর্তমানে বাংলাদেশে অবস্থান করছেন।
উল্লেখ্য, মৃত্যুর কারন শীর্ষক এমসিসিডি রিপোর্ট টি আগামী দুই সপ্তাহ পর পাওয়া যাবে বলে জানা গেছে।
গত ২৮ শে এপ্রিল বাংলাস্কট নিউজে ‘এডিনবরায় বাংলাদেশী প্রবাসীর মৃতদেহ উদ্ধার‘ শীর্ষক একটি প্রতিবেদন প্রকাশিত হয়।
দাফনের ভিডিও ক্লিপ (৪/৫/২০২০)
জানাযা ও দাফনের ধারনকৃত পুরো ভিডিওটি দেখতে এখানে ক্লিক করুন