শনিবার, ২৭ জুলাই ২০২৪ খ্রীষ্টাব্দ | ১২ শ্রাবণ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

আমাদের ওয়েবসাইটে স্বাগতম (পরীক্ষামুলক স¤প্রচার)

স্কটল্যান্ডে করোনা ভাইরাস (বিস্তারিত)

Sex Cams

স্কটল্যান্ডে কোভিড মৃত্যুহার হঠাৎ করে বেড়ে যাওয়ার কারন কি ?




বাংলা স্কট রিপোর্ট (০৮ এপ্রিল ২০২০) :
চলতি সপ্তাহে স্কটল্যান্ডে হঠাৎ করে কোভিড-১৯ জনিত মৃত্যুহার বৃদ্ধি পাওয়ায় ফলে আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়ছে কমিউনিটিতে। স্কটীশ সরকারের মতে, করোনাভাইরাস জনিত মৃত্যু রেকডিং পদ্ধতির পরিবর্তনের ফলে এমনটা হয়েছে। ইতিপুর্বে যারা হাসপাতালে মারা যেতেন এবং যাদের টেস্ট পজিটিভ হত শুধুমাত্র তাদেরকে সরকারী হিসাবের আওতায় মৃত হিসাবে গণ্য করা হত। ইতিপুর্বে যারা কেয়ার হোমে বা নিজের ঘরে মারা যেতেন তাদের সংখ্যা সরকারী হিসাবে অন্তর্ভুক্ত হত না। গত সপ্তাহে গ্লাসগো র একটি কেয়ার হোমে ১৩ জন পেনশনারের মৃত্যু হয়। এর ফলে স্কটিশ সরকার কোভিড মৃত্যুর নতুন রেকডিং পদ্ধতি ঘোষনা করা হয়।
গত ২ এপ্রিল থেকে শুরু হওয়া নতুন রেকর্ডিং পদ্ধতি অনুসারে হাসপাতালের বাইরে কেউ মারা গেলে তাদেরকে ও কোভিড ১৯ ডেথ হিসাবে গণ্য করা হতে পারে। ফার্স্ট মিনিস্টার নিকোলা স্টার্জন দৈনিক প্রেস ব্রিফিং কালে এসব তথ্য তুলে ধরেন। এখন থেকে ন্যাশন্যাল রেকর্ডস অব স্কটল্যান্ড (এনআরএস) থেকে প্রাপ্ত তথ্য অনুযায়ী মৃত্যু তালিকা প্রকাশ করা হবে। অতীতে মৃত ব্যাক্তির আত্বীয় স্বজন কিংবা স্বাস্থ্য বিভাগের বিশেষ ডিপার্টমেন্ট মৃত্যুর কারন হিসাবে যে তথ্য দিত তার উপর ভিত্তি করে ডেথ রেজিষ্ট্রেশন সম্পন্ন করা হত । কিন্তুু বর্তমানে এ পদ্ধতিতে সংশোধন আনা হয়েছে। রেজিষ্ট্রেশন পদ্ধতি দ্রুত সম্পন্ন করার লক্ষ্যে সরকার এ উদ্যোগ নেয়া হয়েছে।

নতুন পদ্ধতির আলোকে যাদেরকে কোভিড ১৯ মৃত্যু তালিকায় যুক্ত করা হবে :

-মৃত্যুর পুর্বে ২৮ দিনের মধ্যে করোনাভাইরাস টেস্ট পজিটিভ হয়েছে
-টেস্ট করা হয়নি কিন্তু লক্ষন অনুযায়ী ‘সাসপেক্টেড‘ বা সন্দেহ করা হচ্ছে
-টেস্ট করা হয়নি কিন্তুু করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হওয়ার যথেষ্ট সম্ভাবনা রয়েছে বা ‘প্রবাভল‘
-সরাসরি করোনা ভাইরাস সংক্রমনের ফলে মৃত্যু হয়নি কিন্তুু এ ভাইরাস মৃত্যুকে ত্বরান্বিত করেছে
-অন্যান্য জটিল রোগ রয়েছে কিন্তু করোনাভাইরাস মৃত্যুকে প্রভাবিত করেছে
-হাসপাতাল, কেয়ার হোম কিংবা ঘরে ও যদি কেউ মারা যায় তবু ও উপরোক্ত বিষয়গুলি পরিগণিত হবে

উপরোক্ত তথ্যের আলোকে ডেথ সার্টিফিকেটে যদি মৃত্যুর কারন হিসাবে অন্যান্য রোগে বা উপসর্গের সাথে করোনাভাইরাস সাসপেক্টেড বা প্রবাভল হিসাবে তাহলে তাকে স্কটল্যান্ডে কোভিড ১৯ ডেথ হিসাবে গণ্য করা হবে।
গত এক সপ্তাহের সমান সময়ে (৩০ মার্চ – ৫ এপ্রিল) পুরো স্কটল্যান্ডে গত ৫ বছরের গড় মৃত্যুর হার ছিল ১০৯৮ জন (এক সপ্তাহে)। করোনাভাইরাসের আক্রমন শুরু হওয়ার ফলে এ বছর একই সপ্তাহে মৃত্যু হয়েছে ১৭৪১ জনের।

ছবি: এ পর্যন্ত (৫ এপ্রিল ২০২০) করোনাভাইরাসে স্কটল্যান্ডে মোট মৃত্যু


এ প্রসঙ্গে নিকোলা স্টার্জন বলেন, মৃত্যুর হার বা সংখ্যা যাই হোক না কেন করোনাভাইরাসের ভয়াবহতা সম্পর্কে সবাইকে সর্বোচ্চ গুরুত্ব দিতে হবে এবং সরকার ঘোষিত নিরাপত্তামুলক নীতিমালা সবাইকে অবশ্যই মেনে চলতে হবে।
সামগ্রিক বিশ্লেষনে গত এক সপ্তাহে স্কট্ল্যান্ডে করোনাভাইরাস পরিস্থিতি উন্নতি হচ্ছে। যদিও হাসপাতালে বেশী লোক ভর্তি হচ্ছে কিন্তুু ইনটেনসিভ কেয়ারে রোগীর সংখ্যা স্থিতিশীল রয়েছে। এছাড়া মোট মৃত্যুর হার ও তুলনামুলক ভাবে আগের সপ্তাহ গুলোর চেয়ে স্থিতিশীল।

ছবি: করোনাভাইরাসে স্কটল্যান্ডে মৃত ব্যাক্তিদের বয়স


এ পর্যন্ত গ্লাসগোতে কোভিড জনিত মৃত্যু হয়েছে সবচে বেশী। ওর্কনী ও ওয়েষ্টার্ন আইলসে কোভিডে কেউ মারা যাননি। মৃতদের অধিকাংশের বয়স ৬৫ এর উর্দ্ধে।

করোনা ভাইরাসের প্রকোপ শুরু হওয়ায় নতুন আইনের আওতায় স্কটল্যান্ডে ডেথ রেজিষ্ট্রেশন পদ্ধতিতে ও বিশেষ পরিবর্তন আনা হয়েছে। সরাসরি কন্টাক্ট এড়াতে অফিসে না এসে ইমেইলের মাধ্যামে রেজিষ্ট্রেশন সম্পন্ন করা হয়। এক্ষেত্রে মৃত্যুর কারন সংক্রান্ত মেডিকেল সার্টিফিকেট টি ইমেইলে যোগে রেজিষ্ট্রেশন অফিসে পাঠানো হয়। অধিকাংশ ক্ষেত্রে পুরো প্রক্রিয়াটি ফিউনারেল ডাইরেক্টরের মাধ্যমে সম্পন্ন হয়ে থাকে।

স্কটল্যান্ডে ডেথ রেজিষ্ট্রেশন সংক্রান্ত বিস্তারিত তথ্য পেতে এই লিংকে ক্লিক করুন

সম্পাদক: মিজান রহমান
প্রকাশক: বিএসএন মিডিয়া, এডিনবরা, স্কটল্যাণ্ড থেকে প্রচারিত

সার্চ/খুঁজুন: