বাংলা স্কট ডেস্ক (১৫ সেপ্টেম্বর ২০২০):
বৈশ্বিক করোনা মহামারী চলাকালে ১.৩ মিলিয়ন পাউন্ড সমমুল্যের সেবা ও পন্য বিনামুল্যে এনএইচএস ও জরুরী সার্ভিসে কর্মরতদের মধ্যে বিতরন করে এক উজ্জল দৃষ্টান্ত স্থাপন করেছেন ব্রিটিশ বাংলাদেশী তরুন উদ্যেক্তা, স্কিন কেয়ার এইচ.কিউ এর প্রতিষ্টাতা, সফল ব্যাবসায়ী হারুন দানিছ। করোনাকালে ফ্রন্টলাইনে কর্মরত যেমন- ডাক্তার, নার্স, এনএইচএস এর বিভিন্ন বিভাগের কর্মীবৃন্দ ছাড়াও সুপার মার্কেটের কর্মীবৃন্দ এবং লরী ড্রাইভারদের জন্য ফ্রিতে বিশেষ স্কিন কেয়ার সেবা দেয়া হচ্ছে। তাদের মতে, জরুরী সেবা প্রদানকারী সংস্থাসমুহের কর্মীরা ফ্রি ফেসিয়াল ও স্কিন কেয়ার সার্ভিস ব্যাবহারের মাধ্যামে তাদের শারিরীক ও মানসিক স্বাস্থ্যের উন্নতি ঘঠবে এবং এর ফলে সামগ্রীক ভাবে পুরো সংস্থায় একটি ইতিবাচক প্রভাব পড়বে।
যে সব যোদ্ধা করোনাভাইরাসের বিরুদ্ধে সম্মুখ সারিতে লড়াই করে যাচ্ছেন তাদের প্রণোদনা দিতে স্কিন এইচকিউ কোম্পানীর পক্ষ থেকে ১.৩ মিলিয়ন পাউন্ড সমমানের ফ্রি সেবা ও সার্ভিস (ফেসিয়াল ইত্যাদি) দেয়ার প্রতিশ্রুতি দেয়া হয়েছে।
তিন বছর আগে চালু হওয়া স্কিন এইচকিউ কোম্পানী টি প্রতিষ্ঠার মুল উদ্দেশ্য ছিল মানুষকে তাদের নিজের ত্বকের ব্যাপারে উৎসাহী করে তোলা।
এই সেবা প্রদানের ফলে ত্বক সমস্যায় ভুক্তভোগী হাজার তরুণ তরুণীর মনের বিষাদ দূর করে তাদেরকে আত্ববিশ্বাসী করে তুলেছেন।
এই ধারণাই পরবর্তীতে তাকে স্কিন কেয়ার মার্কেটে প্রবেশ করতে উৎসাহ যোগায় এবং সাশ্রয়ী মূল্যে ত্বকের সেবা মানুষের দোরগোড়ায় পৌঁছে দেবার প্রেরনা যোগায়।
ইউকে স্কেল আপ ইন্সটিটিউটের তথ্য মতে মাত্র তিন বছরে হারুন তার প্রতিষ্ঠান স্কিন এইচ.কিউকে বৃটেনের টপ ১℅ ব্যবসায়িক প্রবৃদ্ধি অর্জনের তালিকায় অন্তর্ভুক্ত করেছেন। আন্তর্জাতিক ভোক্তা রিভিউ সংস্থা ট্রাস্ট পাইলট রেটিং (৪.৫ স্টার) সমৃদ্ব গুণগত মান ও লোকমূখে প্রচারিত সুনাম স্কিন এইচ.কিউ ক্লিনিক গুলোর সাফল্যে এনে দিয়েছে পরিপূর্ণতা ।
হারুন তার এ ব্রান্ডের সফলতায় উচ্ছসিত। নতুন নতুন সেবা গ্রহীতারাও ব্রিটেনের বিভিন্ন শহরে কোম্পানীর শাখা বৃদ্ধির আহবান জানাচ্ছে সেই সাথে নতুন উদ্যোক্তারা কিভাবে এই ব্রান্ডের সাথে সমৃক্ত হয়ে সফলতার পথ অনুকরণ করা যায়, সবার মনে সেই প্রশ্নই ঘুরপাক খাচ্ছে।
এছাড়া বর্তমানে স্কিন কেয়ার চ্যাম্পিয়ন নামে একটি বিশেষ টিম গঠন করেছেন যারা নিরলসভাবে ব্রান্ডটির সাথে সম্পৃক্ত থেকে এর প্রসারে লক্ষ্যে কাজ করে যাচ্ছে। এর সদস্য সংখ্যা প্রায় অর্ধ শতাধিক । বর্তমানে ইউকে তে ৫ টি ক্লিনিক কার্যক্রম চালাচ্ছে এবং নতুন আরো ৫টি ফ্রাঞ্চাইজ ক্লিনিক চালু হতে যাচ্ছে। সেক্ষেত্রে সরকার ও বিভিন্ন ক্ষেত্রে এই আইডিয়াকে সহযোগিতা করে যাচ্ছে এবং সম্প্রসারণে সরকারের নির্ধারিত দপ্তর সহায়কের ভূমিকা পালন করছে যার মাধ্যমে কর্মসংস্থান ও নতুন প্রজন্মের প্রশিক্ষণ সুবিধা বৃদ্ধি পাবে।
হারুণ বলেন ” ইউকে ছাড়াও ইউরোপ, এশিয়ায় এমনকি বাংলাদেশেও ফ্রাঞ্চাইজ চালু করার পরিকল্পনা রয়েছে। কোন বাংলাদেশী উদ্যেক্তা পৃথিবীর যে দেশেই বসবাস করেন না কেন তিনি এই ইন্ডাস্ট্রিতে যুক্ত হতে চাইলে স্কিন এইচ কিউ এর সাথে যোগাযোগ করলে বিস্তারিত তথ্য পৌছে দেয়া হবে। ব্যবসার এই অগ্রগতিতে হারুন এ বছর গ্রেট বৃটিশ এন্ট্রাপ্রেনার এওয়ার্ড ও লয়েডস ব্যাংক ন্যাশনাল এওয়ার্ডে বর্ষসেরা উদ্যোক্তা নির্বাচিত হন। এছাড়া মর্যাদাপূর্ণ গ্রয়িং বিজনেস এওয়ার্ডে স্কিন এইচ কিউ ইয়াং কোম্পানি অফ দ্যা ইয়্যার ক্যাটাগরিতে ফাইনালিস্ট হিসেবে জায়গা করে নিয়েছেন। তাছাড়াও সম্প্রতি সহ লেখক হিসেবে ইংরেজী ভাষায় প্রকাশিত হারুনের বই “ফ্রাঞ্চাজিং ফ্রীডম” আম্যাজনে প্রকাশের মাত্র ১ দিনের মাথায় ইউকে এবং আমেরিকায় বিক্রির ক্ষেত্রে শীর্ষ তালিকা দখল করে নেয়। তিনি তার এই সফলতায় পূরো বাংলাদেশী কমিউনিটিকে ধন্যবাদ ও কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করেন এবং সকলের নিকট দোয়া ও সহযোগীতা কামনা করেন।
স্কিন এইচ কিউ সম্পর্কে বিস্তারিত জানতে হলে ভিজিট করুন: https://skinhq.co.uk/nhs-heroes/