ডেস্ক রিপোর্ট (৩১ ডিসেম্বর ২০১৮)
৩০ ডিসেম্বর রোববার অনুষ্ঠিত হয়ে গেল বাংলাদেশের বহুল প্রত্যাশিত একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন। এতে ক্ষমতাসীন আওয়ামী নিরঙ্কুশভাবে সংখ্যাগরিষ্ঠতা অর্জন করেছে। এর ফলে টানা তৃতীয় বারের মত সরকার ঘঠন করার সুযোগ পেল আওয়ামী লীগ। বাংলাদেশে কোন দল পর পর তিনবার ক্ষমতায় আসা এটাই প্রথম।
দেশব্যাপী সহিংসতা ও ভোট কারচুপির অভিযোগে বিরোধি দলের অধিকাংশ প্রার্থী নির্বাচন বর্জন করেন। নির্বাচনী সহিংসতায় দেশের বিভিন্ন স্থানে অন্তত ১৭ জন মারা গেছেন এবং আহত দুই শতাধিক। দেশব্যাপী নজীর বিহীন নিরাপত্তা ও প্রচুর সংখ্যক আইন শৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী মোতায়েন ছিল।
রোববার শেষ রাতে নির্বাচন কমিশন ৩০০ টি আসনের মধ্যে ফলাফল ঘোষণা করে ২৯৮ টির। ব্রাহ্মণবাড়িয়া -২ আসনের ফলাফল স্থগিত এবং অপর একটি আসনে (গাইবান্ধা) প্রার্থী মারা যাওয়ার ভোটগ্রহণ অনুষ্ঠিত হয়নি।
প্রাপ্ত ফলাফলে দেখা যায়:
আওয়ামী লীগ ২৫৯ টি
জাতীয় পার্টি (এরশাদ) ২০ পি
ডবএ বিএনপি ৫ টি
ওয়ার্কার্স পার্টি ৩ টি
স্বতন্ত্র ৩ টি
জাসদ ২ টি
বিকল্পধারা ২টি
গণফোরাম ২টি
তরিকত ফেডারেশন ১টি
জাতীয় পার্টি ১ টি
ফলাফল বিশ্লেষনে দেখা যায়, ধানের শীষ প্রতিক নিয়ে বিএনপি ও শরীক দলের সমন্বয়ে গঠিত ঐক্যফ্রন্ট সবমিলিয়ে মাত্র ৭ টি আসন পেয়েছে।
ফলাফল প্রকাশের পর পরই পুনঃ নির্বাচনের দাবী তুলেছে জাতীয় ঐক্যফ্রন্ট । ড. কামাল হোসেন বলেন, “অবিলম্বে এই প্রহসনের নির্বাচন বাতিল করা হোক। এই নির্বাচনের কথিক ফলাফল আমরা প্রত্যাখ্যান করছি এবং সেই সঙ্গে নির্দলীয় সরকারের অধীনে পুনঃনির্বাচনের দাবি করছি ’’
তবে কিছু বিদেশী পর্যবেক্ষক বলছেন, বাংলাদেশের নির্বাচন অত্যন্ত সুন্দর সুষ্ঠ এবং সুচারুভাবে পরিচালিত হয়েছে।
সবমিলিয়ে এবারের নির্বাচনে ১৮৬১ জন প্রার্থী প্রতিদ্বন্ধিতা করেন। নির্বাচন পরিচালনায় ব্যায় হয়েছে ৭০০ কোটি টাকা।
চট্রগ্রামের একটি কেন্দ্রে ভোট শুরু হওয়ার আগেই ব্যালট ভর্তি একটি বাক্স দেখতে পান বিবিসি এর একজন সাংবাদিক। ফেইসবুকে সারাদিন এই ছবিটি ভাইরাল ছিল। নির্বাচন উপলক্ষ্যে উচ্চগতি সম্পন্ন ইন্টারনেট সেবা বন্ধ ছিল। যার ফলে প্রদানে গণ মাধ্যামে তথ্য আদান-প্রদানে সমস্য দেখা দেয়।
ভোট কারচুপি, ভোটারদের ভয় ভীতি প্রদর্শন এবং বিরোধী দলের এজেন্ট দের ভোট কেন্দ্র থেকে বের করে দেওয়ার অভিযোগে সরব ছিল বিএনপি। অধিকাংশ কেন্দ্রে তাদের এজেন্টদের পাওয়া যায়নি। দেশী বিদেশী সংবাদ মাধ্যমে নির্বাচনী সহিংসতা এবং ভোট জালিয়াতির খবর ফলাও করে প্রকাশিত হয়। বিএনপি বলছে তারা শ্রীঘ্রই বিস্তারিত কর্মসুচী ঘোষনা করবে ।