– আজ থেকে শুরু হল পাইলট (পরীক্ষামুলক) রেজিষ্ট্রেশন এবং মার্চ থেকে চালু হবে পুর্ণাঙ্গ স্কিম
– এন্ড্রয়েড মোবাইল অ্যাপে রেজিষ্ট্রেশন সম্পন্ন করা যাবে
– ফি মওকুফের ঘোষনা দিলেন থেরেসা মে
ডেস্ক রিপোর্ট (বাংলা স্কট), ২১ জানুয়ারী ২০১৯
আজ থেকে পরীক্ষামুলক ভাবে শুরু হল বৃটেনে বসবাসরত ইউরোপিয়ান নাগরিকদের রেজিষ্ট্রেশন প্রক্রিয়া। হোম অফিস ঘোষিত পরিপত্রে জানা গেছে, ব্রেক্সিট পরবর্তী সময়ে বৃটেনে যারা স্থায়ী ভাবে থাকতে ইচ্ছুক তাদের জন্য এই স্কিম চালু করা হয়েছে। আগামী মার্চ মাস থেকে পুরোদমে চালু হবে এই রেজিষ্ট্রেশন প্রক্রিয়া।
বৃটেন জুড়ে প্রায় ৩.৮ মিলিয়ন ইউরোপিয়ান নাগরিক বাস করছেন, তাদের সকলের রেজিষ্ট্রেশন সম্পন্ন করা সরকারের জন্য একটি বিশাল চ্যালেঞ্জ হয়ে দাড়িয়েছে।
কাদের জন্য রেজিষ্ট্রেশন প্রযোজ্য:
প্রকাশিত তথ্য অনুযায়ী, ব্রিটেনে যাদের বসবাসের পাঁচ বছর পুর্ন হয়েছে তারা ’সেটেলড’ স্ট্যাটাসের জন্য আবেদন করতে পারবেন আর যাদের ৫ বছর পুর্ণ হয়নি তাদেরকে ’প্রি-সেটেলড’ স্ট্যাটাসের জন্য আবেদন করতে হবে।
এছাড়া ইউ নাগরিকদের স্ত্রী কিংবা পরিবারের অন্যান্য সদস্যবৃন্দ যাদের নন ইউরোপিয়ান পাসপোর্ট রয়েছে তাদেরকে ও একই প্রক্রিয়ায় আবেদন করতে হবে। যাদের রেসিডেন্ট কার্ড আছে তারা ও এই প্রক্রিয়ায় আবেদন জমা করতে হবে।
সময়সীমা ও গুরুত্বপুর্ন তারিখসমুহ:
আবেদন গ্রহনের সর্বশেষ তারিখ জুন ২০২১। সেটেলড স্ট্যাটাসে ইউকে তে থাকা ব্যাক্তিদের পরিবারের সদস্যরা কিন্তু এই তারিখের পরে ও হয়ত আবেদন করতে পারবেন।
৫ বছরের হিসাবটি করা হবে ২০২০ সালের ৩১ ডিসেম্বর পর্যন্ত। অর্থাৎ যারা ১ জানুয়ারী ২০১৫ তারিখে কিংবা তার পুর্বে ব্রিটেনে এসেছেন শুধুমাত্র তারাই সরাসরি ’সেটেলড’ স্ট্যাটাসের জন্য আবেদন করতে পারবেন। যারা এই তারিখের (০১/০১/২০১৫) পর থেকে ইউকে তে বসবাস শুরু করেছেন তাদেরকে ’প্রি সেটেলড’ স্ট্যাটাসের জন্য আবেদন করতে হবে।
আবেদনের প্রক্রিয়া :
রেজিষ্ট্রেশন প্রক্রিয়া সহজতর করতে ইতিমধ্যে হোম অফিস একটি মোবাইল অ্যাপ তৈরী করেছে। এই অ্যাপটি শুধু মাত্র এন্ড্রয়েড মোবাইলে ব্যাবহার করা যাবে। কারিগরী জটিলতার কারনে অ্যাপল (আই ফোন) প্লাটফর্মে অ্যাপটি কাজ করবে না।
অ্যাপে যে সব তথ্য দেয়া হবে তা তৎক্ষনাৎ স্বয়ংক্রিয় ভাবে সরকারের এইচ.আর.এম.সি তে সংরক্ষিত তথ্যভান্ডারের সাথে যাচাই করা হবে। এছাড়া অনলাইনের মাধ্যামে লেপটপ, কম্পিউটারের সাহায্যে ও আবেদন করা যাবে।
ইউরোপিয়ান নাগরিকদের আবেদনের ধাপগুলি হচ্ছে নিæরুপ-
১. প্র“ফ অব আইডেন্ডিটি : আবেদনকারীর ছবি এবং নাগরিকত্বের প্রমান হিসাবে পাসপোর্টের কপি/রেসিডেন্ট কার্ড আপলোড করতে হবে।
২. বসবাসের প্রমান: এক্ষেত্রে ন্যাশন্যাল ইন্সুরেন্স নাম্বার দিলেই হবে। কিন্তুু আসার দিন/তারিখের প্রমান স্বরুপ সরকারী সংস্থা সমুহের চিঠি (বেনিফিট, কাউন্সিল) কিংবা বিমানের ঠিকিট জাতীয় ডকুমেন্ট স্ক্যান করে আপলোড করা লাগতে পারে।
৩. অপরাধ সংক্রান্ত তথ্য: (যদি থাকে) ব্রিটেনে থাকাকালীন কিংবা অন্য দেশে অবস্থানকালীন কোন অপরাধ করে থাকলে তা উলেখ করতে হবে। শুধুমাত্র ১৮ বছরের উর্দ্ধে বয়সীদের ক্রাইম সংক্রান্ত তথ্য লাগবে।
৪. ফি প্রদান: প্রধান মন্ত্রী থেরেসা মে আজ যে ঘোষনা দিয়েছেন তাতে বলা হয় ইউ নাগরিকদের কোন ফি দিতে হবে না। কিন্তুু পুর্বে ঘোষিত পরিপত্র অনুযায়ী প্রাপ্ত বয়স্কদের জন্য ৬৫ পাউন্ড এবং শিশুদের (১৬এর নিচে) ৩২.৫০ পাউন্ড লাগবে। যারা ইতিপুর্বে ইউকে এর পার্মানেন্ট রেসিডেন্সি রয়েছে তাদের ফি লাগবে না। এছাড়া ’প্রি-সেটেলড স্ট্যাটাস’ থেকে ’সেটেলড স্ট্যাটাস’ স্থানান্তর হওয়ার সময় ফি লাগবে না।
অনলাইনে আবেদন করতে হলে এই লিংকে ক্লিক করুন
হোম অফিস গত ১লা নবেম্ভর থেকে ২১ শে ডিসেম্ভর পর্যন্ত পরীক্ষামুলক ভাবে পাইলট রেজিষ্ট্রেশন প্রক্রিয়া পরিচালনা করেছে। এসময় দুই লক্ষ পঞ্চাশ হাজার ইইউ সিটিজেন তাদের রেজিষ্ট্রেশন সম্পন্ন করা হয়েছে বলে হোম অফিস জানিয়েছে। পাইলট স্কিমে বিশেষ ঝুকিপুর্ন গ্র“প যেমন শিশু, ডিসেবল এবং যারা কেয়ারে আছেন শুধুমাত্র তারাই অংশগ্রহন করেছেন। এ ছাড়া হাসপাতাল ও কেয়ার হোমে যারা কাজ করছেন তারা ও পাইলট স্কিমে আবেদন করার সুযোগ পেয়েছেন।
উলেখ্য, সর্বশেষ প্রাপ্ত তথ্য মতে – ই্উ নাগরিকদের বেনিফিট বা অন্যন্য অধিকার সংক্রান্ত পরিবর্তন হওয়ার কোন খবর এ যাবত পাওয়া যায়নি। সরকার কতৃক ঘোষিত সর্বশেষ তথ্যের আলোক এই সংবাদটি পরিবেশন করা হয়েছে। এটা কোন আইনী পরামর্শ নয়। বিস্তারিত জানতে হলে আপনার নিকটস্থ ইমিগ্রেশন আইনজীবির পরামর্শ নিন।