স্টাফ রিপোর্টার,
হজ ও তাবলিগ জামাত নিয়ে বিতর্কিত মন্তব্য করে আওয়ামী লীগ থেকে বহিষ্কৃত নেতা আবদুল লতিফ সিদ্দিকী সংসদ সদস্য পদ থেকে সরে দাঁড়ানোর সিদ্ধান্ত জানিয়েছেন।
সংসদ সদস্য পদ বাতিলের প্রশ্নে ইসির শুনানিতে আজ রবিবার ১১টার সময় তিনি সেখানে যান। শুনানির শুরুতে আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক সৈয়দ আশরাফুল ইসলামের পক্ষ থেকে বক্তব্য রাখার আহ্বান জানান নির্বাচন কমিশনার কাজী রকিব উদ্দিন। তবে লতিফ সিদ্দিকী ইচ্ছা প্রকাশ করলে তাকে আগে বলতে দেয়া হয়। তিনি বলেন, সংসদ সদস্য পদে থাকার ব্যাপারে আর আইনি লড়াই চালাবো না। স্পিকারের কাছেই পদত্যাগ করবো। এ নিয়ে শুনানির প্রয়োজন নেই।
লতিফ সিদ্দিকীর এই বক্তব্যের পর ১৫ মিনিটের মধ্যেই শুনানি শেষ করে দেয়া হয়। এদিকে আগামী দুই সপ্তাহের মধ্যে রায় ঘোষণা করবে ইসি। এর মধ্যে লতিফ সিদ্দিকী পদত্যাগ করলে আর শুনানির প্রয়োজন হবে না।
লতিফ সিদ্দিকী সাংবাদিকদের বলেন, এমপি পদ নিয়ে তার কোনো লোভ নাই। দলীয় প্রধান যেহেতু চান না সেহেতু আমি এমপি পদে থাকতে চাচ্ছি না।
শুনানির আগে আওয়ামী লীগের দফতর সম্পাদক আবদুস সোবহান গোলাপের নেতৃত্বে তিন সদস্য ইসিতে আসেন।
আজ রবিবার সকালে স্থগিত আবেদন খারিজ করে দেয় প্রধান বিচারপতি এস কে সিনহার নেতৃত্বাধীন আপিল বিভাগের চার বিচারপতির বেঞ্চ।
শুনানিতে লতিফ সিদ্দিকীর পক্ষে ছিলেন অ্যাডভোকেট কামরুল হক সিদ্দিকী ও ব্যারিস্টার জ্যোতির্ময় বড়ুয়া এবং রাষ্ট্রপক্ষে ছিলেন অ্যাটর্নি জেনারেল মাহবুবে আলম।